ডিভি লটারী-২০১২
বৈধ পন্থায় আমেরিকা যাওয়ার সপ্ন বাংলাদেশী অনেকেরই। সেই সপ্নপূরনের পথে আরেকধাপ ডাইভার্সিটি ভিসা বা ডিভি লটারি। প্রতি বছরের মত এবারো যুক্তরাষ্টের পররাষ্ট মন্ত্রনালয় আয়োজন করেছে ডাইভার্সিটি ভিসা বা ডিভি-২০১২ কর্মসূচী। প্রতিবছর বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৫০০০ লোক লটারীর মাধ্যমে এই ভিসা কর্মসুচীর আওতায় আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পায়।এই ভিসার জন্য আবেদন করতে কোনো ফি দিতে হয় না। শুধু ডিভি বিজয়ীদের ভিসা গ্রহনের সময় নির্ধারীত ফি দিতে হয়।
এই প্রোগ্রামের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হল আজ ৫ই অক্টোবর মধ্যহ্ন থেকে। আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ৩রা নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত। ডিভির ফল পাওয়া যাবে আগামী বছরের ১লা মে থেকে ৩০ই জুন পর্যন্ত অনলাইনে।
আবেদনের নিয়মঃ
অন্যান্যবারের মত এবারো ডিভি লটারীর আবেদন করতে হবে অনলাইনে। আবেদন করতে হবে এই ঠিকানায়।
ডিভি আবেদনের দিকনির্দেশিনা বাংলাতে পাওয়া যাবে এইখানে এবং ইংরেজিতে এইখানে।
এইখানে লক্ষনীয় যে, ডিভির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরুর দিকে করায় ভালো।পরবর্তীতে আবেদনকারীদের চাপ বেশি থাকায় কারীগরি ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আবেদন করার সময় যা যা পূরন করতে হবেঃ
ডিভি ওয়েবসাইটের নির্ধারিত আবেদনের ফরমে লিম্নলিখিত জিনিসগুলো সতর্কতার সহিত পূরন করবেনঃ
১। আবেদনকারীর পুরোনাম
২। জন্মতারিখ
৩। জন্মস্থান ( প্রার্থী যে শহরে/জেলায় জন্মগ্রহন করেছে/জন্মনিবন্ধন কার্ডে যা উল্লেখ আছে)
৪। দেশ
৫। আবেদনকারীর ছবি
৬। পুর্ণঠিকানা
৭। বর্তমানে যেই দেশে বসবাস করছেন।
৮। ফোন নম্বর ( যদি থাকে)
৯। ই-মেইল এড্রেস ( যদি থাকে)
১০। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যাতা
১১। বৈবাহিক অবস্থা
১২। সন্তানের সংখ্যা ( সন্তানের বয়স ২১ বছরের নিচে হলে )
১৩। স্বামী/ স্ত্রী সংক্রান্ত তথ্য (আবেদনকারী স্বামী হলে এই অংশে স্ত্রীর তথ্য দিতে হবে)
১৪। সন্তান সংক্রান্ত তথ্য
একজন আবেদনকারী একটির বেশি আবেদন করতে পারবেন না। তবে স্বামী-স্ত্রী পৃথকভাবে দুইটি আবেদন করতে পারবেন। আবেদন প্রক্রিয়া সফল্ভাবে সম্পন্ন হলে একটি “কনফার্মেশন নাম্বার” সহ আবেদনকারীর নাম ও জন্মসাল দেখানো হবে। ডিভির পরবর্তি ধাপের জন্য এই তথ্যগুলো সংরক্ষন করে রাখা জরুরী।পরবর্তি সময়ে অনলাইনে ভিসা প্রাপ্তি কিংবা স্ট্যাটাস জানতে এই তথ্যসমুহের দরকার হবে।
ছবি সংক্রান্ত তথ্য ( ধরন,আকার,ফরমেট)
অনেকেই ডিভি ফরমের সঙ্গে কেমন ছবি সংযুক্ত করতে হবে তার সঠিক নির্দেশনা না জেনে আবেদন করেন।ফলে আবেদন গ্রহনযোগ্য হয় না। আবেদনকারী নিজেই ছবির গ্রহনযোগ্যতা পরীক্ষা করতে পারবেন এই ঠিকানার “ফটো-ভেলিডেটর” থেকে।
ছবি নেয়ার মাধ্যম দুইটি -ক্যামেরা ও স্ক্যানার। সাদা বা হালকা ব্যাকগ্রাউন্ডে এমনভাবে ছবি তুলতে হবে যাতে ছবির ৫০ থেকে ৬৯ শতাংশ জায়গাজুড়ে আবেদন
কারীর মুখমন্ডল দেখা যায়। ক্যামেরায় তোলা ও স্ক্যান করা ছবির ক্ষেত্রে "২৪ বিট কালার" হতে হবে। ছবির ফরম্যাট করতে হবে জেপিইজি (.JPEG) ফরম্যাট এ। ছবির রেজ্যুলেশন হবে ৬০০ পিক্সেল(দৈর্ঘ্য) এবং ৬০০ পিক্সেল (প্রস্থ) । স্ক্যানের ক্ষেত্রে ডিপিয়াই(DPI) দিতে হবে ৩০০। লক্ষ রাখতে হবে ছবির সাইজ যেন ২৪০ কিলোবাইটের বেশী না হয়।
ডিভি আবেদনকারীর যোগ্যতাঃ
নূন্যতম ১২ বছরের শিক্ষা অর্থাৎ উচ্চ-মাধ্যমিক ( এইচ.এস.সি) স্তর সম্পন্নকারীরাইডিভি আবেদনের যোগ্য। যারা উচ্চ-মাধ্যমিক পাস করেননি তারা যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত কাজে দুই বছরের অভিজ্ঞতা বা প্রশিক্ষওন থাকলেই আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন করার সময় শিক্ষাগত যোগ্যাতা বা পেশার সনদের দরকার হয়না। ডিভিপ্রাপ্তির পরই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
ডিভির ফলাফল
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের এই সাইটে পাওয়া যাবে ডিভি ভিসাপ্রাপ্তির তথ্য।আবেদনকারীরা প্রাপ্ত “কনফার্মেশন নাম্বার” বা নামের শেষাংশ বা পারিবারিক নাম ও জন্মসালসহ এই সাইটে সাবমিট করলেই জানা যাবে ভিসাপ্রাপ্তির তথ্য। যারা ডিভি জেতেননি তাদের কোনো তথ্য এই সাইতে প্রদর্শিত হবে না। এছাড়াও ডাকযোগে চিঠির মাধ্যমেও বিজয়ীদের জানানো হবে।
No comments:
Post a Comment